Monday, December 21, 2020

মুত্রনালির ইনফেকশন(urinary tract infection) কী এবং কেন হয় ?কিভাবে এর থেকে রক্ষা পাবেন?

 মুত্রনালির ইনফেকশন কী?কিভাবে এর থেকে রক্ষা পাবেন?

মুত্রনালির (urinary tract infection) ইনফেকশন হছে  এমন   এক  ধরনের ইনফেকশন যা মুত্রনালির যে  কোন অংশে হতে পারে।মুত্রনালির ইনফেকশনের বিভিন্ন নাম হয়ে থাকে। মুত্রনালির কোন অংশে ইনফেকশন হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন নাম হতে থাকে।মুত্রথলি—মুত্রথলিতে ইনফেকশন হলে তাকে বলে cystitis অথবা bladder infection.কিডনিতে ইনফেকশন হলে তাকে বলে pyelonephritis অথবা kidney infection.Ureters বা মূত্রনালি—যে কোন একটি কিডনি থেকে মুত্রথলি পর্যন্ত নালী বা Ureter এ ইনফেকশন হবার সুযোগ থাকে। তুলনামূলক ভাবে Urethra বা মূত্রনালি—ইহা সেই মুত্রনালির ইনফেকশন যা প্রস্রাবকে মুত্রথলি থেকে শরীরের বাহিরে নিয়ে আসে।মূত্রনালির ইনফেকশনের কারণ হচ্ছে জীবাণু যা প্রথমে urethra দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে তারপর মুত্রথলিতে যায় এবং সাধারণত সেখানেই ইনফেকশন করে। এবং পরে কিডনিতে ছড়াতে পারে।

মুত্রনালির ইনফেকশন কী?কিভাবে এর থেকে রক্ষা পাবেন?
 মুত্রনালির ইনফেকশন কী?কিভাবে এর থেকে রক্ষা পাবেন?

অধিকাংশ সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইনফেকশন এজেন্ট গুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়য়ে থাকে।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুত্রনালীর ইনফেকশন হওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়।

অধিকাংশ সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইনফেকশন গুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম।মহিলাদের মূত্রনালির ইনফেকশনের সুযোগ বেশি থাকে কারণ তাদের urethra ছেলেদের থেকে ছোট থাকে এবং পায়খানার রাস্তার খুবই কাছাকাছি থাকে।যার ফলে দৈহিক মিলনের পর মহিলাদের ইনফেকশনের সুযোগ অনেক বেড়ে যায়।. Menopause মহিলাদেরও মূত্রনালির ইনফেকশনের সুযোগ বেশি থাকে।

মহিলাদের মূত্রনালির ইনফেকশনের সুযোগ বেশি থাকে কারণ তাদের urethra ছেলেদের থেকে ছোট থাকে এবং পায়খানার রাস্তার খুবই কাছাকাছি থাকে।যার ফলে দৈহিক মিলনের পর মহিলাদের ইনফেকশনের সুযোগ অনেক বেড়ে যায়।. Menopause মহিলাদেরও মূত্রনালির ইনফেকশনের সুযোগ বেশি থাকে।

লক্ষন সমুহ:

তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে। যেমন:

  • ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা, কিন্তু কোনবারই যথেষ্ট পরিমাণ প্রস্রাব হবে না।
  • প্রস্রাব করার সময় তীব্র ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া অনুভব হবে।
  • শরীর দুর্বল হওয়া, পিঠের নিচের দিকে বা তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হওয়া।
  • ঘোলা ও দূর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হওয়া বা কখনো কখনো প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।
  • প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ভাবের সাথে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।
  • প্রস্রাব আটকে রাখতে না পারা।
  • ছোটদের ক্ষেত্রে ডায়ারিয়া, জ্বর, খেতে না চাওয়া ইত্যাদি নানা উপসর্গ দেখা যায়।

 

এসব উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং আপনার যা যা করা দরকার:

ভিটামিন সি যুক্ত খাবার:

ইউরিন ইনফেকশন হলে অনেক চিকিত্সকই রোগীদেরকে দৈনিক ৫০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভিটামিন সি মুত্রথলীকে ভাল রাখে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমাতে সহায্য করে। এ ছাড়াও ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত

বার বার পানি পান:

ইউরিন ইনফেকশন হলে কিংবা ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন অন্তত আড়াই লিটার পানি খাওয়া উচিত। বিশেষ করে প্রসাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া শুরু করা উচিত। আর যাদের প্রায়ই এই সমস্যা হয় তারা সব সময়েই একটু বেশি পানি খাওয়ার অভ্যাস করবেন। সাধারণত প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে বার বার পানি খেতে থাকুন।

আনারসের রস
আনারসের রস

আনারসের রস:

আনারসে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী এঞ্জাইম। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান।

দারুচিনি:

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের কারণে শত শত বছর ধরেই সমাদৃত দারুচিনি। এটি শরীরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বেড়ে উঠতে বাধা দেয়। একটি গবেষণায় জানা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার জন্য দায়ী ই. কোলি ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে দারুচিন

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধা চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস পানিতে ভাল করে মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলেই প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা ভাব অনেকটাই কমে যাবে।

পেঁপে
পেঁপে

পেঁপে: 

প্রচুর ভিটামিন সি আছে বলে পেঁপে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ও প্রস্রাবে অ্যাসিডিটি বাড়ায়, যে কারণে ইনফেকশন তৈরিতে দায়ী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, গাজর ও টমেটোর চেয়েও তিনগুণ ভালো ক্যারোটিওয়েড থাকে পেঁপেতে।

রসুন:
রসুন

রসুন: 

রসুনে অ্যালিসিন সহ বেশ কিছু উপকারি উপাদান থাকে যা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে বেশ ফলদায়ক। ই.কোলি সহ অনেক ব্যাকটেরিয়াকে দমন করতে পারে রসুন। বার বার ফিরে আসা ইউরিন ইনফেকশন রোধেও রসুন বেশ উপকারি। কাঁচা রসুন খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।প্রস্রাবের ইনফেকশনের সময় অ্যাসিডিক ফল (লেবু, কমলালেবু) বেশি খেলে পরিস্থিতি আরো বিগড়ে যেতে পারে।


ডাক্তার প্রেসক্রাইব করলে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স পুরো শেষ করুন। ভালো বোধ করলেও অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শেষ করা জরুরি।

মুত্র থলির র্ইনফেকশন হলে যা মেনে  চলবেন:

  •  জাম জাতীয় ক্রেনবেরি ছাড়াও ব্লু বেরি ফল পেলে খাবেন, এসব ফল প্রস্রাব ইনফেকশন দূর করতে উপকারি।
  • মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না।
  • প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন দই খেলে উপকার পাবেন।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশনের সময় অ্যাসিডিক ফল (লেবু, কমলালেবু) বেশি খেলে পরিস্থিতি আরো বিগড়ে যেতে পারে।
  • ডাক্তার প্রেসক্রাইব করলে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স পুরো শেষ করুন। ভালো বোধ করলেও অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শেষ করা জরুরি।
তথ্যসুত্র:risingbd.

No comments:

Post a Comment

একটি সফল NFT(এনএফটি) প্রজেক্ট ড্রপের জন্য 6 কৌশলগত টিপস এবং ট্রিকস।।

একটি সফল এনএফটি ড্রপের জন্য 6 কৌশলগত টিপস এবং ট্রিকস অনেক এনএফটি নির্মাতা এবং ডিজিটাল শিল্পীরা মনে করেন যে তাদের যা করতে হবে তা হ'ল একটি...