লাভে শেয়ার বিক্রির ১০টি অব্যর্থ র্কৌশল
অনেকেই শেয়ার কেনার পর যখন লাভ হয় তখন এটাকে বেচার সিদ্বান্তহীনতায় ভুগেন। বিক্রি করবেন কি করবেন না কিংবা ভাবছেন শেয়ারটির মূল্য আরো বাড়তে পারে পরে বিক্রি করলে লাভ আরো বেশি হবে ।দোলাচালে দুলতে দুলতেই কয়েক দিন পার হয়ে যায় ।
যেদিন সিধ্যান্ত নিছেন আপনার হাতে থাকা শেয়ার টি বিক্রি করবেন মার্কেটে গিয়ে দেখলেন আজ হঠাৎ মেয়ারটির দাম পড়ে গেছে ।ভাবলেন ২ দিন অপেক্ষা করে দেখি দাম হয়তো আবার উঠবে।কিন্তু না আপনার সে আশায় গুড়ে বালি ঢেলে মেয়ারটির দাম প্রদিদিন পড়ছেই পড়ছে ।মাথায় হাত ।একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন সঠিক সময়ে সঠিক সিধ্যান্ত না নিতে পারলে শেয়ার মার্কেটে কখনোই টিকে থাকতে পারবেন না ।
![]() |
ঢাকা শেয়ার মার্কেট |
এজন্য আপনাকে শেয়ার মার্কেটের গতীপথ ভালো করে বুঝতে হবে ।কিছু হিসাবনিকাশ জানতে হবে।মার্কেট আন্যালাইসিস+ ক্যালকুলেসন জানতে হবে বুঝতে হবে।মার্কেটের বিভিন্ন ইনডেক্স সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে । যা কঠিন কিছু নয় ।আন্দাজের উপর কিংবা গুজবের উপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করবেন না । এতে সাময়িক লাভবান হওয়া যায়। কিন্তু বেশি দিন টিকে থাকা যায়না ।
অনেকেই শেয়ার কেনার পর যখন লাভ হয় তখন এটাকে বেচার সিদ্বান্তহীনতায় ভুগেন। বিক্রি করবেন কি করবেন না কিংবা ভাবছেন শেয়ারটির মূল্য আরো বাড়তে পারে পরে বিক্রি করলে লাভ আরো বেশি হবে । এক্ষেত্রে দুই রকম বিনিয়োগকারী পাওয়া যায় ।
এক.
কিছু বিনিয়োগকারী আছে যারা শেয়ারে লাভ হবার সঙ্গে সঙ্গে বেচে দেন পরে আরো দাম বেড়ে গেলে হা হুতোশ করেন।
দুই.
কিছু বিনিয়োগকারী আছেন যারা শেয়ারে লাভ হলে বেচেন না। তারা আরো বাড়ার আশায় থাকেন। এক দেখা যায় যে পুনরায় শেয়ারটির দাম তার কেনা পর্যায়ে দামের নিচে চলে আসে অথবা লাভের পরিমান কমে যায়।
আরো দেখতে পারেন :
মজার একটি ব্যাপার হল
শেয়ার বাজারে অনেকেই লাভ নেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধ্যান্ত হীনতায় পড়েন কিন্তু লসের ক্ষেত্রে চট জলদি বেচে দেন। আর তাই এই বিষয়ে সঠিক সিদ্বান্ত নেবার সুবিধার্থে নিচে কিছু কৌশল বর্ণনা করা হলো:
![]() |
Share market Confusion |
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে:
১। প্রথমেই বিনিয়োগকারীকে ঠিক করে নিতে হবে যে কত পরিমান লাভ তার টার্গেট হবে।
২। তবে বিনিয়োগকারীকে মোটামুটি ৩০% লাভের টার্গেট করে বেচতে হবে।
৩। যদি দেখা যায় শেয়ারটি আগের বছরের তুলনায় দাম অনেকাংশ বেড়ে গেছে কিন্তু শেয়ারটির ভলিউম আগের দিনগুলোর মত স্বাভাবিক আছে সেক্ষেত্রে কিছু দিন অপেক্ষা করে যখন অস্বাভাবিক ভলিউমে যাবে তখন বেচে দিতে হবে।
➢আগের বছরের তুলনায় দাম অনেকাংশ বেড়ে গেছে।
➢কিন্তু ভলিউম আগের দিনগুলোর মত স্বাভাবিক আছে।
➢সেক্ষেত্রে কিছু দিন অপেক্ষা করে যখন অস্বাভাবিক ভলিউমে যাবে তখন বেচে দিতে হবে।
৪। দাম বাড়ার পর যখন শেয়ারটি একটি মূল্যে সামান্য ব্যাবধানে উঠানামা করে লেনদেন হচ্ছে তখন শেয়ারটি বেচে দিতে হবে।
স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে:
৫। প্রথমেই বিনিয়োগকারীকে ঠিক করে নিতে হবে যে কত পরিমান লাভ তার টার্গেট হবে।
৬। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে মোটামুটি ১৫% লাভের টার্গেট করে বেচতে হবে।
৭। যেহেতু সট ট্রেডে বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ সেহেতু এক্ষেত্রে লাভ হলেই বেচে দেওয়া উত্তম।
৮। যদি শেয়ারটি অনেক দিন সামান্য ব্যবধানে স্হির থেকে হঠাৎ বাড়তে শুরু হয়েছে এবং পরপর দুই দিন দাম বৃদ্বি পেয়েছে এবং ৩য় দিনে সকালে দাম পড়ে গেছে কিন্তু ভলিউম বেশী হচ্ছে তবে শেয়ারটি ৪ দিনে বেচাই উত্তম।
➢সকালে দাম পড়ে গেছে
➢কিন্তু ভলিউম বেশী হচ্ছে
➢তবে শেয়ারটি ৪ দিনে বেচাই উত্তম।
৯। যদি দেখা যায় শেয়ারটি আগের বছরের তুলনায় দাম অনেকাংশ বেড়ে গেছে কিন্তু শেয়ারটির ভলিউম আগের দিনগুলোর মত স্বাভাবিক আছে সে ক্ষেত্রে কিছু দিন অপেক্ষা করে যখন অস্বাভাবিক ভলিউমে যাবে তখন বেচে দিতে হবে।
➢যদি দেখা যায় শেয়ারটি আগের দিনের তুলনায় দাম অনেকাংশ বেড়ে গেছে
➢কিন্তু শেয়ারটির ভলিউম আগের দিনগুলোর মত স্বাভাবিক আছে
➢সে ক্ষেত্রে কিছু দিন অপেক্ষা করে যখন অস্বাভাবিক ভলিউমে যাবে তখন বেচে দিতে হবে।
১০। দাম বাড়ার পর যখন শেয়ারটি একটি মূল্যে সামান্য ব্যবধানে উঠানামা করে লেনদেন হচ্ছে তখন শেয়ারটি বেচে দিতে হবে ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার এই লেখাটি যদি কারো ভালো লাগে বা উপকারে আসে থাহলে কমেন্ট ও শেয়ার করবেন ।
No comments:
Post a Comment