প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়ার গুনাগুন জানেন কি? আমলকী আমাদের দেহের জন্য সবচাইতে উপকারি ভেষজ গুলোর মধ্যে একটি। আমলকি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন, এর কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আছে অনেক উপকার। দৈনিক ভিটামিন ক্যাপসুল না খেয়ে একটি করে আমলকী খান। কিংবা খেতেপারেন আমলকীর আচার। খেতে পারেন আমলকীর মোরব্বাও ।এই সামান্য আমলকী আপনার দেহের সৃষ্টি করবে বিস্ময়কর সব কার্যকারীতা। আপনি জানতে চান?কীভাবে?জানুন তাহলে-
![]() |
আমলকি প্রতিদিন কেন খাবেন? জানলে অবাক হয়ে যাবেন! |
আমলকী খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা।
- আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।
- এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।
- আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
- আমলকি আপনার চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
- আধা চূর্ণ শুষ্ক আমলকি ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
- আমলকী চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।
- আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
- ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
- আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।
- কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।
- আমলকি ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
- আমলকি শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।
- শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
- আমলকি লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
- এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
- আমলকি সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।
- এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
আমলকির গুন বলে শেষ করা যাবেনা।সুপ্রাচীন কাল হতেই আমলকি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাবহার হয়ে আসছে।যা সম্পূর্নরূপেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।আপনার যৌবন ও স্বাস্থ্য অটুট রাখা সহ আমলকি আমাদের দেহের জন্য মহা উপকারী, একেবারে অল্প মূল্যের একটি ভেষজ ।তাই আজ থেকেই শুরু করতে পারেন-প্রতিদিন একটি করে আমলকি সবার জন্য।ধন্যবাদ।।ভলো লাগলে শেয়ার করবেন।
তথ্যসূত্র:bangladesh.gov.bd
No comments:
Post a Comment