অনেক দিন আগের কথা ।বরিশালের ভোলা অঞ্চল।এই অঞ্চলেরই বাসিন্দা শাহেদ আর বদি দুজনেই প্রানের বন্ধু।স্কুল জীবন থেকে দুজনেই একসাথে পড়ালেখা করে অবশেষে একদিন BA পাস করে ফেল্লো।
নতুন জীবনের স্বপ্ন নিয়ে তারা দুবন্ধু বিভিন্ন জাগায় ইন্টাভিউ দিতে লাগলো চাকরীর জন্য। কিন্তু BA পাস করেও এই দুই যুবক দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও চাকরি পাচ্ছে না। তারপর একদিন সবােইকে অবাক করে এক ভালো প্রতিষ্ঠানে বন্ধু শাহেদের একটা চাকরি হয়ে গেল।
![]() |
BA পাশ করে চিড়িয়খানায় বাঘ সাজার চাকুরী |
কিছুদিন যেতে না যেতেই হঠাৎ একদিন বন্ধু বদির একটা চিড়িয়াখানায় চাকরি হয়ে হলো।
চিড়িয়াখানার বাঘটা হঠাৎ করে মারা যাওয়ায় খাঁচাটা শূন্য পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষ বললঃ তুমি যদি খাঁচার ভেতর একটা বাঘের পোষাক পরে বাঘের মত তর্জন গর্জন দিতে পারো তাহলে মাসে ৯হাজার টাকা পাবে।
বেকার ছেলে বদি তাতেই রাজি। রোজ চিড়িয়াখানা খোলার আগে বদি বাঘের পোষাক পরে খাঁচায় ঢুকে পড়ে। দর্শক এলে তাদেরকে তর্জন- গর্জন ও আরো নানা কায়দা-কুসরত দেখিয়ে বদি তাদের ভীষণ আনন্দ দেয়।
দেখতে দেখতে চিড়িয়াখানার দর্শক বেড়ে গেল। বাঘের খাঁচার সামনে বিরাট ভিড়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও খুশি হয়ে বেতন বাড়িয়ে দিল তার। ভালোই চলছিল দিন.......
হঠাৎ একদিন শুরু হলো এক ভয়ংকর বিপত্তি...!!!
বাঘের খাঁচার পাশেই ছিল এক অলস সিংহের খাঁচা-।
দুই খাঁচার মাঝে একটা এক পাতলা জালের বেঁড়া-।
একদিন হলো কি- সহজ সরল বদি সেই বেঁড়া ধরে লাফিয়ে নেচে- কুদে মজা দেখাতে গিয়ে পুরনো বেঁড়া ভেঙ্গে সে একেবারে গিয়ে পড়লো পাশের সিংহের খাঁচার ভেতর !!!
এখন কী হবে ? ভয়ে মনে হলো জানটা তার নাকের ফুটো দিয়ে বের হয়ে যাবে-।
পৈতৃক প্রাণটা বুঝি আজ সিংহের হাতেই গেল...! ভয়ে দু হাটুর মধ্যে মুখ লুকিয়ে খাঁচার এক কোনে বসে দোয়া-দুরুদ পড়তে লাগলো বেচারা বদি।
এদিকে সিংহটাও কিছুক্ষণ হতচকিত হয়ে চুপকরে বসে থেকে- ধিরে ধিরে উঠে দাঁড়ালো।
তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে লাগলো বদির দিকেে । এদিকে ভয়ে তো বদির প্রায় হার্ট এটাক হবার যোগার।
কিন্তু অন্যদিকে সিংহটা ধীরে ধীরে এক্কেবারে তার কাছে চলে এসেছে।
প্রাণের মায়া ছেড়ে দিয়ে ছেলেটা যখন কালেমা পড়তে শুরু করলো.... ঠিক তখন সিংহটা বলে উঠলো . . . . বন্ধু, এতো ভয় পেয়োনা , আমিও BA পাশ বেকার তোমার বন্ধু শা....।